কেউ বলে সাঁই আবদুল করিম, কেউ বলে পাগল
শিল্পী : কালা মিয়া
অ্যালবাম : --
বিভাগ : বাউল
সময় : --
সময় : --
ওরে যার যা ইচ্ছা তাহাই বলে, বুঝিনা আসল নকল
কেউ বলে সাঁই আবদুল করিম, কেউ বলে পাগল (২)
যার যা ইচ্ছা তাহাই বলে (২)
বুঝিনা আসল নকল
কেউ বলে সাঁই আবদুল করিম, কেউ বলে পাগল (২)
জন্ম আমার সিলেট জেলায়, সুনামগন্জ মহকুমার
বসতকরি বিরাই থানায় (২)
গ্রামের নামটি হয়দল।
কেউ বলে সাই আবদুল করিম, কেউ বলে পাগল (২)
দল একটি প্রসিদ্ধ গ্রাম দুর দুরান্তে আছে নাম (২)
এই গ্রামেতে জন্ম নিলাম (২)
নাই কোন সম্বল
কেউ বলে সাঁই আবদুল করিম, কেউ বলে পাগল (২)
স্কুল মাদ্রাসায় আদি শিক্ষা দিক্ষার আছে বিধি (২)
মধ্যেবয়ে কালনি নদী
মধ্যে বয়ে কালনি নদী, তাতে কালো জল
কেউ বলে সাঁই আবদুল করিম, কেউ বলে পাগল (২)
কালনি নদীর উত্তর পারে আছি এক কুড়ে ঘড়ে (২)
পোষ্ট অফিস হয়দল বাজারে (২),ইউনিয়ন পরল
কেউ বলে সাঁই আবদুল করিম, কেউ বলে পাগল (২)
পিতার নাম ইব্রাহিম আলীসোজা সরল আল্লার ওলি (২)
পীর মুরশীদের চরন ধুলি (২) করিমের সম্বল
কেউ বলে সাঁই আবদুল করিমকেউ বলে পাগল (২)
যার যা ইচ্ছা তাহাই বলে (২)
বুঝিনা আসল নকল
কেউ বলে সাঁই আবদুল করিমকেউ বলে পাগল (২)
ইতিহাস:
স্বল্পশিক্ষিত বাউল শাহ আবদুল করিম প্রায় দেড় সহস্রাধিক গান লিখেছেন এবং সুরারোপ করেছেন।এর মধ্যে “কেউ বলে সাই আবদুল করিম, কেউ বলে পাগল” তার অন্যতম একটি গান।যে
গানের মাধ্যমে তিনি তার নিজের পরিচয় বর্ণনা করেছেন।
বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে তাঁর ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। শিল্পীর চাওয়া অনুযায়ী সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের উদ্যোগে বাউল আব্দুল করিমের সমগ্র সৃষ্টিকর্ম নিয়ে সিলেট জেলা মিলনায়তনে তার রচনাসমগ্র (অমনিবাস) প্রকাশিত হয়। কিশোর বয়স থেকে গান লিখলেও কয়েক বছর আগেও এসব গান শুধুমাত্র ভাটি অঞ্চলের মানুষের কাছেই জনপ্রিয় ছিল। সাম্প্রতিককালে এ সময়ের বেশ কয়েকজন শিল্পী বাউল শাহ আব্দুল করিমের গানগুলো নতুন করে গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করলে তিনি দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন। বাউল শাহ আবদুল করিমের ৬টি গানের বই প্রকাশিত হয় তার জীবিতকালেই। বইগুলো হলো- আফতাব সংগীত, গণ সংগীত, কালনীর ঢেউ, ভাটির চিঠি, কালনীর কূলে এবং দোলমেলা। তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আরও রয়েছে- 'গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু-মুসলমান...... আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম', 'বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে', 'বসন্ত বাতাসে', 'আমি কূলহারা কলঙ্কিনী', 'সখী, কুঞ্জ সাজাও গো' ইত্যাদি।
বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে তাঁর ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। শিল্পীর চাওয়া অনুযায়ী সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের উদ্যোগে বাউল আব্দুল করিমের সমগ্র সৃষ্টিকর্ম নিয়ে সিলেট জেলা মিলনায়তনে তার রচনাসমগ্র (অমনিবাস) প্রকাশিত হয়। কিশোর বয়স থেকে গান লিখলেও কয়েক বছর আগেও এসব গান শুধুমাত্র ভাটি অঞ্চলের মানুষের কাছেই জনপ্রিয় ছিল। সাম্প্রতিককালে এ সময়ের বেশ কয়েকজন শিল্পী বাউল শাহ আব্দুল করিমের গানগুলো নতুন করে গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করলে তিনি দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন। বাউল শাহ আবদুল করিমের ৬টি গানের বই প্রকাশিত হয় তার জীবিতকালেই। বইগুলো হলো- আফতাব সংগীত, গণ সংগীত, কালনীর ঢেউ, ভাটির চিঠি, কালনীর কূলে এবং দোলমেলা। তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আরও রয়েছে- 'গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু-মুসলমান...... আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম', 'বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে', 'বসন্ত বাতাসে', 'আমি কূলহারা কলঙ্কিনী', 'সখী, কুঞ্জ সাজাও গো' ইত্যাদি।
No comments