আমি কোথায় পাব তারে
শিল্পী : শ্রী অমর পাল
অ্যালবাম : সুরের খোঁজে রবীন্দ্রনাথ
বিভাগ : বাউল
তাল : --
সময় : --
![]() |
গগন হরকরা |
আমি কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যেরে॥
হারায়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশে দেশ বিদেশে,
আমি দেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে।
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।
হারায়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশে দেশ বিদেশে,
আমি দেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে।
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।
লাগি সেই হৃদয়শশী সদা প্রাণ হয় উদাসী,
পেলে মন হত খুশী, দিবা নিশি দেখিতাম নয়ন ভরে।
আমি প্রেমানলে মরছি জ্বলে, নিভাই কেমন করে,
মরি হায়, হায় রে-
আমি প্রেমানলে মরছি জ্বলে, নিভাই কেমন করে,
ও তার বিচ্ছেদে প্রাণ কেমন করে, বিচ্ছেদে প্রাণ কেমন করে
দেখ না তোরা হৃদয়ে সে, দেখ না তোরা হৃদয় চিরে।
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।
পেলে মন হত খুশী, দিবা নিশি দেখিতাম নয়ন ভরে।
আমি প্রেমানলে মরছি জ্বলে, নিভাই কেমন করে,
মরি হায়, হায় রে-
আমি প্রেমানলে মরছি জ্বলে, নিভাই কেমন করে,
ও তার বিচ্ছেদে প্রাণ কেমন করে, বিচ্ছেদে প্রাণ কেমন করে
দেখ না তোরা হৃদয়ে সে, দেখ না তোরা হৃদয় চিরে।
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।
দিব তার তুলনা কি যার প্রেমে জগত্ সুখি,
হেরিলে জুড়ায় আঁখি, সামান্যে কি দেখতে পারে তারে?
তারে যে দেখেছে সেই মজেছে ছাই দিয়ে সংসারে,
মরি হায়, হায় রে-
তারে যে দেখেছে সেই মজেছে ছাই দিয়ে সংসারে,
ও সে না জানি কি কুহক জানে, না জানি কি কুহক জানে
অলক্ষে মন চুরি করে, ওরে কটাক্ষে মন চুরি করে
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।
হেরিলে জুড়ায় আঁখি, সামান্যে কি দেখতে পারে তারে?
তারে যে দেখেছে সেই মজেছে ছাই দিয়ে সংসারে,
মরি হায়, হায় রে-
তারে যে দেখেছে সেই মজেছে ছাই দিয়ে সংসারে,
ও সে না জানি কি কুহক জানে, না জানি কি কুহক জানে
অলক্ষে মন চুরি করে, ওরে কটাক্ষে মন চুরি করে
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।
কুল মান সব গেল রে তবু না পেলাম তারে
প্রেমের লেশ নাই অন্তরে-
তাইতে মোরে দেয় না দেখা সে রে।
ও তার বসত কোথা না জেনে তায় গগন ভেবে মরে
মরি হায়, হায় রে-
ও তার বসত কোথা না জেনে তায় গগন ভেবে মরে।
ও সে মানুষের উদ্দিশ যদি জানিস, মানুষের উদ্দিশ যদি জানিস
কৃপা করি বলে দে রে, আমার সুহৃদ হয়ে বলে দে রে,
ব্যথার ব্যথিত হয়ে বলে দে রে,
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।
হারায়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশে দেশ বিদেশে,
আমি দেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে।
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।।
প্রেমের লেশ নাই অন্তরে-
তাইতে মোরে দেয় না দেখা সে রে।
ও তার বসত কোথা না জেনে তায় গগন ভেবে মরে
মরি হায়, হায় রে-
ও তার বসত কোথা না জেনে তায় গগন ভেবে মরে।
ও সে মানুষের উদ্দিশ যদি জানিস, মানুষের উদ্দিশ যদি জানিস
কৃপা করি বলে দে রে, আমার সুহৃদ হয়ে বলে দে রে,
ব্যথার ব্যথিত হয়ে বলে দে রে,
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।
হারায়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশে দেশ বিদেশে,
আমি দেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে।
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।।
ইতিহাস
:
আমাদের জাতীয় সংগীত মোটামুটি কম বেশি সবাই জানে।তবে অনেকেই জানে না গানের ইতিহাস।কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গানটা লিখেছেন।তবে গানটায় সব চাইতে বেশী আবদান যার তাঁর নাম গন্ধই নাই।
সেই মহান মানুষটির নাম বাউল গগন হরকরা।পুরো নাম গগন চন্দ্র ধাম।কুষ্টিয়ার শিলাইদহের আড়পাড়া গ্রামের এক কায়স্থ পরিবারে আনুমানিক ১৮৪৫ সালে তাঁর জন্ম । তিনি লালন সাঁইজির ভক্ত ছিলেন।তঁর নিজের রচিত গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি লালনের গানও গাইতেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৯ থেকে ১৯০১ সাল বাংলাদেশের শিলাইদহ ও শাহজাদপুরে জমিদারি দেখাশোনা করতে নিয়মিত যেতেন। তখন শিলাইদহে তাঁর সঙ্গে গগন হরকরার পরিচয় । গগন তাকে গান গেয়ে শোনাতেন।একদিন গগন শোনালেন তাঁর রচিত জনপ্রিয় গান আমি কোথায় পাবো তারে আমার মনের মানুষ যে রে। গানটার সুর এবং বাণী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এতটাই প্রভাবিত করেছিলো তখন তিনি গগন হরকরার গানের সুরেই রচনা করেন আমাদের জাতীয় সংঙ্গীত আমার সোনার বাংলা গানটি।গানটিতে শব্দ চয়নের ক্ষেত্রেও গগন হরকরার রচিত গানের প্রভাব বিদ্যমান। গগন হরকরার রচিত অনেক গান পরবর্তীতে লালনের গান বলে গীত হয়েছে। গগন প্রথমে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন পাশাপাশি তৎকালীন শিলাইদহের ডাক ঘরের ডাক হরকরা’র চাকুরী করতেন।তাঁর রচিত জনপ্রিয় আর একটি গান ও মন অসাড় মায়ায় ভুলে রবে । তিনি অসংখ্য গান রচনা করলেও আমাদের সংগ্রহে তাঁর রচনা অতি সামান্য।বাউল গগন হরকরা ১৯১০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
সেই মহান মানুষটির নাম বাউল গগন হরকরা।পুরো নাম গগন চন্দ্র ধাম।কুষ্টিয়ার শিলাইদহের আড়পাড়া গ্রামের এক কায়স্থ পরিবারে আনুমানিক ১৮৪৫ সালে তাঁর জন্ম । তিনি লালন সাঁইজির ভক্ত ছিলেন।তঁর নিজের রচিত গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি লালনের গানও গাইতেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৯ থেকে ১৯০১ সাল বাংলাদেশের শিলাইদহ ও শাহজাদপুরে জমিদারি দেখাশোনা করতে নিয়মিত যেতেন। তখন শিলাইদহে তাঁর সঙ্গে গগন হরকরার পরিচয় । গগন তাকে গান গেয়ে শোনাতেন।একদিন গগন শোনালেন তাঁর রচিত জনপ্রিয় গান আমি কোথায় পাবো তারে আমার মনের মানুষ যে রে। গানটার সুর এবং বাণী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এতটাই প্রভাবিত করেছিলো তখন তিনি গগন হরকরার গানের সুরেই রচনা করেন আমাদের জাতীয় সংঙ্গীত আমার সোনার বাংলা গানটি।গানটিতে শব্দ চয়নের ক্ষেত্রেও গগন হরকরার রচিত গানের প্রভাব বিদ্যমান। গগন হরকরার রচিত অনেক গান পরবর্তীতে লালনের গান বলে গীত হয়েছে। গগন প্রথমে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন পাশাপাশি তৎকালীন শিলাইদহের ডাক ঘরের ডাক হরকরা’র চাকুরী করতেন।তাঁর রচিত জনপ্রিয় আর একটি গান ও মন অসাড় মায়ায় ভুলে রবে । তিনি অসংখ্য গান রচনা করলেও আমাদের সংগ্রহে তাঁর রচনা অতি সামান্য।বাউল গগন হরকরা ১৯১০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete